সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জে একজনকে হত্যাসহ আরও দুই ভাবিকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়া দেবর আইনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার আমরিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, তার বিরুদ্ধে এক ভাবিকে কুপিয়ে হত্যা এবং আরও দুই ভাবিকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়।
পুলিশ জানায়, শনিবার পারিবারিক কলহের জেরে তিন ভাবিকে চাকু দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন ওই যুবক। এ ঘটনায় স্বপ্না বেগম নামে এক গৃহবধূ ঘটনাস্থলেই মারা যান। মর্জিনা বেগম ও ইয়াসমিন বেগম নামের আরও দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে নিহত স্বপ্নার বাবা নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, আমড়িয়া গ্রামের জামাল মিয়ার চার ছেলে। এর মধ্যে তিনজন বিবাহিত। সবাই একই পরিবারে বসবাস করেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক নানা ঝামেলা ছিল। কলহের জেরে সকাল ১০টার দিকে স্বপ্না বেগম (৩৫), মর্জিনা বেগম (৩০) ও ইয়াসমিন বেগমকে (২৬) ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান আইনুল। আহত নারীরা চিৎকার শুরু করলে তিনি পালিয়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা আহত তিন নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বপ্না বেগম নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, তিন ভাবিকে কোপানোর পর পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply